গ্যাসের সমস্যা দূর করার ঘরোয়া উপায় ও কার্যকর সমাধান

 পেটের সমস্যায় ভোগা মানুষের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন এবং খারাপ খাদ্যাভ্যাসের কারণে ধীরে ধীরে আমাদের পরিপাকতন্ত্র দুর্বল হয়ে যায়। এ কারণে অনেকেই বদহজম, অ্যাসিডিটিসহ বিভিন্ন রকম পেটের সমস্যায় ভোগেন।




গ্যাসের সমস্যা দূর করার জন্য কিছু কার্যকর ঘরোয়া উপায় বিস্তারিতভাবে নিচে দেওয়া হলো:

১. আদা চা

আদা চা গ্যাসের সমস্যা কমাতে অত্যন্ত কার্যকর। আদায়ে থাকা প্রাকৃতিক উপাদানগুলো হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে। এক কাপ গরম পানিতে কিছু আদা কুচি দিয়ে চা তৈরি করুন এবং দিনে দুই থেকে তিনবার পান করুন।

২. পুদিনা পাতা

পুদিনা পাতা হজমে সাহায্য করে এবং গ্যাসের সমস্যা কমায়। কিছু পুদিনা পাতা চিবিয়ে খেতে পারেন বা পুদিনা চা তৈরি করে পান করতে পারেন। পুদিনা চা তৈরি করতে, এক কাপ গরম পানিতে কিছু পুদিনা পাতা দিন এবং ৫-১০ মিনিট রেখে দিন।

৩. জিরা পানি

জিরা হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে এবং গ্যাসের সমস্যা কমায়। এক চামচ জিরা গরম পানিতে মিশিয়ে পান করুন। এটি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে পান করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।

৪. লেবু পানি

লেবু পানি হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে এবং গ্যাসের সমস্যা কমায়। এক গ্লাস গরম পানিতে এক চামচ লেবুর রস মিশিয়ে সকালে খালি পেটে পান করুন।

৫. দই

দইয়ে প্রোবায়োটিক থাকে যা হজমে সাহায্য করে এবং গ্যাসের সমস্যা কমায়। প্রতিদিন এক কাপ দই খাওয়ার চেষ্টা করুন।

৬. পর্যাপ্ত পানি পান

পর্যাপ্ত পানি পান করলে হজম প্রক্রিয়া উন্নত হয় এবং গ্যাসের সমস্যা কমে। প্রতিদিন অন্তত ৮ গ্লাস পানি পান করার চেষ্টা করুন।

৭. খাবারের পর হাঁটা

খাবার খাওয়ার পর কিছুক্ষণ হাঁটলে হজম প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয় এবং গ্যাসের সমস্যা কমে। প্রতিদিন খাবার খাওয়ার পর অন্তত ১০-১৫ মিনিট হাঁটার চেষ্টা করুন।

গ্যাসের সমস্যার কার্যকর সমাধান

  • ডাবের পানি: ডাবের পানি খেলে পেটে গ্যাসের সমস্যা দূর হয়। কারণ, এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। সেই সঙ্গে এতে উপকারী মিনারেলসও পাওয়া যায়।

  • দই: খাবার হজম করতে দই অনেকটা সহায়তা করে। প্রতিদিন নিয়মিত দই খেলে হজমশক্তি বেড়ে যায়। এ জন্য দুপুরের পরে অল্প টক দই খেতে পারেন। তবে এখানে চিনির বদলে অল্প লবণ ব্যবহার করতে পারেন।

  • রসুন: পরিপাকতন্ত্রের জন্য উপকারী উপাদান হলো রসুন। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক কোয়া কাঁচা রসুন খেতে পারেন। এ ছাড়া দুপুরে ভাতের সঙ্গেও এক কোয়া রসুন খেতে পারেন। এভাবে সপ্তাহে অন্তত দুই থেকে তিন দিন খান; সমস্যা অনেকটা সমাধান হয়ে যাবে।

উপরোক্ত প্রয়োজনীয় বিধিগুলো দিয়ে আপনি উপকৃত না হলে প্রাথমিক অবস্থায় আপনি গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ খেতে পারেন , তবে পরবর্তীতে আপনাকে অবশ্যই চিকিৎসক এর নিকট শরণাপন্ন হতে হবে। 

গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া খুব বেশি কঠিন কিছু নয়। শুধু একটু নজর রাখতে হবে নিজের খাওয়া-দাওয়ার প্রতি। উল্লেখিত খাবারগুলোর সঙ্গে আঁশ জাতীয় খাবার বেশি বেশি করে নিয়মিত খাওয়া শুরু করুন তাহলে দেখবেন আপনাকে আর গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভুগতে হবে না।


মন্তব্যসমূহ