ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য নিয়মিত রক্তে সুগারের মাত্রা পরীক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গ্লুকোমিটার হচ্ছে এই কাজটি করার সবচেয়ে সহজ ও দ্রুত উপায়।
যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে, তাদের শরীরে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়মের ব্যত্যয় ঘটলে দ্রুত পরিবর্তিত হতে পারে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে শরীরের সুগারের পরিমাণ জানার জন্য একটি গ্লুকোমিটার খুবই প্রয়োজন।
কেন গ্লুকোমিটার গুরুত্বপূর্ণ?
গ্লুকোমিটার রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা পরিমাপ করে, যা ডায়াবেটিসের চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা নির্ধারণে সহায়ক।
নীচে গ্লুকোমিটার কেনার সময় কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করা হলো:
স্বয়ংক্রিয় কোডিং: কিছু গ্লুকোমিটারে অটো কোডিং সুবিধা রয়েছে, যার মাধ্যমে প্রতিটি টেস্ট স্ট্রিপ নিজে থেকে অ্যাডজাস্ট হয়ে যায়। অন্যদিকে, ম্যানুয়াল কোডিং সুবিধার মেশিনগুলোতে প্রতিবার টেস্ট স্ট্রিপ ব্যবহার করার আগে কোড ইনপুট করতে হয়।
ডেটা স্টোরেজ: গ্লুকোমিটার ব্যবহারের পর মেশিনটি পরীক্ষার তথ্য সংরক্ষণ করে, যা পরবর্তীতে ফলাফল বিশ্লেষণের জন্য কাজে লাগে। তাই বেশি তথ্য সংরক্ষণ করতে পারে এমন গ্লুকোমিটার বেছে নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ।
পরীক্ষার সময়: ডায়াবেটিসের মাত্রা বেড়ে গেলে দিনে কয়েকবার পরীক্ষা করতে হয়, তাই দ্রুত ফলাফল দেয় এমন মেশিন বেশি সুবিধাজনক।
রক্তের নমুনার পরিমাণ: আধুনিক গ্লুকোমিটারগুলো পরীক্ষার জন্য খুব কম পরিমাণ রক্তের প্রয়োজন হয়, যা ১ মাইক্রো লিটারেরও কম হতে পারে। এতে রক্তের অপচয় কম হয় এবং পরীক্ষা করা সহজ হয়।
বাজেট: বাংলাদেশে একটি গ্লুকোমিটার মেশিনের দাম ৬০০ টাকা থেকে শুরু হয়। তবে মেশিন কেনার আগে এর টেস্ট স্ট্রিপের দাম ও সহজলভ্যতা যাচাই করা উচিত।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন